আমাদের অঙ্গীকারসমূহ এবং বৈশিষ্ট্যসমূহের সফল বাস্তবায়ন আমাদেরকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ।

প্রশংসা কেবল আল্লাহ্ তা’আলার জন্য। দরূদ ও সালাম রসূল (সঃ) এর প্রতি। আল্লাহর প্রথম নির্দেশ হলো “পড়”। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির জ্ঞান ও আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা কাঙ্খিতমানের শিক্ষা পাচ্ছিনা। এর প্রধান কারণ হলো শিক্ষাক্রমে আধুনিক শিক্ষার সাথে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের সমন্বয়ের অভাব। যার ফলে সার্টিফিকেটধারী মানুষ তৈরি হচ্ছে বটে, নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন আদর্শ মানুষ তৈরি হচ্ছে না। আদর্শ মানুষ তৈরির মহান ব্রতকে সামনে রেখে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লাইফ শাইন একাডেমী। কাঙ্খিতমানের নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন আদর্শ ও যোগ্য মানুষ তৈরিই আমাদের মূল লক্ষ্য। নৈতিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে চাই। শিক্ষার্থীকে যোগ্যতাসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সাথে সাথে একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের উপযুক্ত মানবসম্পদ সৃষ্টির বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি।

আমাদের অঙ্গীকারসমূহ এবং বৈশিষ্ট্যসমূহের সফল বাস্তবায়ন আমাদেরকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আলী আহাম্মেদ মৈশান মডার্ণ স্কুল 
লক্ষ্য : আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে সৎ, যোগ্য ও আলোকিত মানুষ তৈরি।
উদ্দেশ্য : শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শ ও দক্ষ মানবসম্পদরূপে গঠন করার মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করা।

স্কুলপরিচিতি
আলী আহাম্মেদ মৈশান মডার্ণ স্কুল  কুমিল্লা জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কুমিল্লা  জেলার , শাহদৌলতপুর, ময়নামতি, বুড়িচং নামক স্থানে  স্কুলটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশৃঙ্খল পরিবেশে আলী আহাম্মেদ মৈশান মডার্ণ স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব  কুমোদ বন্ধু নাথ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মোঃ আজিজুর রহমান। তাঁদের সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলীর নিষ্ঠা ও ত্যাগের ফলে ইতোমধ্যেই স্কুলটি সর্বমহলে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অত্যাধুনিক পাঠদানপদ্ধতি, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, সুপরিসর ক্লাসরুম এবং ম্যানেজিং কমিটির সুদক্ষ পরিচালনায় স্কুলটি উত্তরোত্তর সাফল্য লাভ করে চলেছে।

স্কুলের পরিবেশ
লাইফ শাইন এশাডেমী চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ডারঘর (কড়ই গাছতলা) এলাকায় অত্যন্ত মনোরম ও খোলামেলা পরিবেশে অবস্থিত। 
= শিক্ষাগ্রহণের উপযোগী শ্রেণিকক্ষ
= উন্নতমানের শিক্ষা উপকরণ
= অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব
= উন্নত টয়লেট ও পয়ঃনিষ্কাশন
= সহশিক্ষা কার্যক্রম
 

শিক্ষার মাধ্যম
পাঠদান ও পাঠগ্রহণ এ দু’টো প্রক্রিয়ার জন্য শিক্ষার মাধ্যম অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের যুগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতৃভাষায় পাঠদানের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই লাইফ শাইন একাডেমী শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

লাইফ শাইন একাডেমীর নিজস্ব কতকগুলো ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
নিম্নে বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হল :
= বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক/শিক্ষিকা কর্তৃক পাঠদান।
= সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নিয়োগপরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ দান।
= গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে সাধারণ ক্লাস ছাড়াও অতিরিক্ত ক্লাস এর ব্যবস্থা।
= নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যবিষয় বুঝিয়ে দিয়ে পড়া দেয়া এবং পরের দিন পড়া আদায় করা।
= দৈনিকপাঠ না শিখলে সংশোধনী ক্লাসের মাধ্যমে পড়া শেখানোর ব্যবস্থা।
= প্লে ও নার্সারী শ্রেণিতে সার্বক্ষণিক দু’জন শিক্ষকের ব্যবস্থা।
= নিয়মিত ডায়েরি সংরক্ষণ এবং দৈনিক পাঠ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ডায়েরি মার্কস এর ব্যবস্থা।
= কম্পিউটার শিক্ষার সুব্যবস্থা।
= আরবি ও ধর্মীয় নিয়ম-নীতির ব্যবহারিক শিক্ষার ব্যবস্থা।
= চিত্রাঙ্কনের বিশেষ ব্যবস্থা।
= শিক্ষার্থীদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা।
= আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত শ্রেণিকক্ষ।
= ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া সম্পর্কিত যেকোন ধরনের সমস্যা ও পরামর্শ সরাসরি ব্যক্তিগতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করার সুযোগ।
= উশৃঙ্খল আচরণ ও শৃঙ্খলা
= যেকোন ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
= অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগের ক্লাসে রেখে যথাযথ যতেœর ব্যবস্থা।
= সুনিয়ন্ত্রিত শৃংখলাপদ্ধতি ও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।
= ঝগঝ/ফোনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতি ও অন্যান্য তথ্য অভিভাবকদের জানানো।
= টিচার্স কর্তৃক হোম ভিজিটিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যকর করা।
= ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া সামগ্রীর ব্যবস্থা।
= প্রাথমিক চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা করা।
= গরীব/মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধাদান।
 

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থার বিশেষ দিকসমূহ:
= মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ উদ্দেশ্যে বোর্ড নির্ধারিত ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও অতিরিক্ত ইংরেজি পুস্তক আমাদের পাঠ্য-তালিকাভুক্ত করা হয়।

= প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়। এ উদ্দেশ্যে প্লে থেকে আরবি পঠন ও লিখন পদ্ধতি অনুশীলন বাধ্যতামূলক, যাতে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী কুরআন শরীফ শুদ্ধরূপে পড়তে সক্ষম হয়।

= মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠদান করা হয়।

= শ্রেণী-পাঠকে ফলপ্রসূ ও সফল করার লক্ষ্যে শিক্ষক কর্তৃক খবংংড়হ চষধহ (পাঠদানের পূর্ব প্রস্তুতি) রীতি অনুসরণ করা হয়, যা শিক্ষার মান উন্নয়নকে নিশ্চিত করে।

= প্রতিবছর বিভিন্ন শ্রেণীতে মেধাভিত্তিক পুরস্কার, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উপর পুরস্কার, ১০০% উপস্থিতি ও সুন্দর হস্তাক্ষরের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান করা হয়।

= ছাত্র-ছাত্রীর গর্হিত আচরণ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুচিত হস্তক্ষেপের কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষণের আশংকা ঘটলে সে ধরনের শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হয়। সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত।

ক্লাসডায়েরি
= শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন একাডেমিক কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করার জন্য বছরের শুরুতে ডায়েরি প্রদান করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার মান, নৈতিক চরিত্র, আচার-আচরণ ও উপস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য ডায়েরির মাধ্যমে অভিভাবককে প্রতিদিন অবহিত করা হয়, যাতে অভিভাবক তাঁর সন্তানের অবস্থা সম্পর্কে সর্বদা অবগত থাকতে পারেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীর দৈনন্দিন কার্যক্রম অবগত হয়ে অভিভাবককে প্রতিদিন ডায়েরিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এ স্বাক্ষর দেখে শিক্ষক নিশ্চিত হবেন যে, ছাত্র-ছাত্রীর সঠিক অবস্থা সম্পর্কে অভিভাবক অবহিত আছেন।

= শ্রেণিতে শিক্ষাদান পদ্ধতিকে কার্যকর ও ছাত্র-ছাত্রীর পড়া আদায়কে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রেণীপাঠের উপর ডায়েরিতে নম্বর প্রদান করা হয় এবং সাংবৎসরিক ফলাফলের সাথে এ নম্বর যোগ করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসের এই নম্বরের জন্য সর্বদা পড়া-লেখার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে।

সিলেবাস
পড়ালেখা সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। এলক্ষ্যে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর দিনই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পুস্তকাকারে মুদ্রিত নির্ধারিত সময়বণ্টনসহ কোর্সপ্ল্যান সমৃদ্ধ সিলেবাস প্রদান করা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থী বছরের শুরুতেই নির্ধারিত শ্রেণির পাঠ্যসূচি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। পড়ালেখা সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। এলক্ষ্যে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর দিনই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পুস্তকাকারে মুদ্রিত নির্ধারিত সময়বণ্টনসহ কোর্সপ্ল্যান সমৃদ্ধ সিলেবাস প্রদান করা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থী বছরের শুরুতেই নির্ধারিত শ্রেণির পাঠ্যসূচি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।

হ্যান্ডনোট প্রদান
পরীক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সন্তোষজনক ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষকগণ পাঠ্যসূচী অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় এবং উন্নতমানের হ্যান্ডনোট প্রদান করে থাকেন। ফলে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ একটু সচেতন হলে বাসায় প্রাইভেট টিউটর ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়। হ্যান্ডনোট ফটোকপি বাবদ যে খরচ হয় তা অভিভাবককে বহন করতে হয়।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ
২য় শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুদক্ষ কম্পিউটার শিক্ষক কর্তৃক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সাংবৎসরিক সিলেবাসের সাথে সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইউজার হিসেবে তৈরি করা হয় এবং শিক্ষার্থীর মাঝে কম্পিউটারে উচ্চ শিক্ষার ভিত্তি রচনা করা হয়।

কুরআন শিক্ষা
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষা দেয়ার জন্য সিলেবাসে বিশেষ আয়োজন রয়েছে।

ব্যবহারিক ধর্ম
সিলেবাসভুক্ত পাঠ্যসূচীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেকে ধর্মের ব্যবহারিক নিয়মকানুন শেখানো হয়। প্রতি সাময়িকে এর জন্য রয়েছে ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা।

স্পোকেন ইংলিশ
ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজিতে কথাবার্তা বলার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত Spoken English  ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক সাময়িকে ৫০ নম্বরের Spoken English  পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ করতে হয়।

চিত্রাঙ্কন
প্লে, নার্সারী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাঙ্কনের উপর বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে খুব সহজে ছবি আঁকার নিয়ম-কানুন শেখানো হয় এবং প্রত্যেক সাময়িকে ৫০ নম্বরের ড্রইং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

হস্তাক্ষর সুন্দরকরণ
সকল ছাত্র-ছাত্রীর বাংলা, ইংরেজি ও মুসলিম শিক্ষার্থীদের আরবী হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য বিশেষ যতœনেয়া হয়। প্রত্যেক পরীক্ষায় হস্তাক্ষর সুন্দরের জন্য আলাদা নম্বর রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর হস্তাক্ষরের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হস্তাক্ষরের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।

সংশোধনী ক্লাস
প্রতি ক্লাসেই দৈনিক পাঠ (পূর্বদিনের বাড়ীর কাজসহ) আদায় করা হয়। যদি কোন কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়ির পাঠ শিখে না আসে অথবা বাড়ির কাজ করতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে তাদেরকে ছুটির পর সংশোধনী ক্লাসের মাধ্যমে দৈনিক পাঠ পুনরায় শেখানো এবং আদায় করা হয়।

সহপাঠদান
পড়ালেখার পাশাপাশি অত্র স্কুলে সংগীত, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, কুইজ, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি যথেষ্ট সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। সংস্কৃতি ও মেধাচর্চা মানুষের সুকুমার বৃত্তিগুলোর বিকাশ সাধন করে, মানুষকে শোভন, চৌকষ, বাগ্মী এবং বিভিন্নভাবে পারদর্শী করে গড়ে তোলে। তাই শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তির প্রস্ফুটনের লক্ষ্যে বিতর্ক, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, ধারাবাহিক গল্প বলা, সাধারণ জ্ঞান, বিভিন্ন শিক্ষাউপকরণ সংগ্রহ ও প্রস্তুতি ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।

শিক্ষাসফর
বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়।

স্কুলবিধি
স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ভদ্র, শালীন ও আদর্শ শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ বাঞ্ছনীয়। ক্লাসে যথাসময়ে উপস্থিতি, নীরবতা, পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা একান্তভাবে কাম্য।
 
শিক্ষার্থীদের নিম্নোক্ত আচরণবিধি মেনে চলা আবশ্যক :
= প্রতিদিন স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক, মনোগ্রামসহ নির্ধারিত পোশাক ছাড়া স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষেধ। এছাড়া স্কুল ইউনিফর্ম পরে স্কুলের বাইরে কোন প্রকার অশোভন কাজ করেছে বলে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে ঞ.ঈ দেয়া হবে।
= প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সবসময় যথাযথ আন্তরিক হতে হবে ও গ্রহণযোগ্য কাঙ্খিত (নম্র, ভদ্র, বিনয়,  শালীন) আচরণ করতে হবে। যেকোন ধরনের আপত্তিকর আচরণের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনিবার্য।
= নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা এবং কথা ও কাজে সৌজন্যবোধ থাকা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অত্যাবশ্যক।
= শিক্ষার্থীদের কোন অবহেলা ও বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে স্কুলের কোন সম্পদ বা যন্ত্রাংশের ক্ষতি সাধিত হলে তাদেরকেই  ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
= নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোন শিক্ষার্থী স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারবে না।
= স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর জরুরি অবস্থা, জটিল সমস্যা ও স্বাস্থ্যগত অবনতি ছাড়া ছুটি দেয়া হবে না।
= ডায়েরি, পরীক্ষার খাতা, প্রোগ্রেস রিপোর্ট ইত্যাদিতে স্বাক্ষর নকল করা, কোন লেখা মূছে ফেলা বা ঘষামাজা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
= কোন শিক্ষার্থী শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে লিপ্ত হলে বাধ্যতামূলক টি.সি. দেয়া হবে।
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারী শিক্ষার্থীদের স্কুল হতে বাধ্যতামূলক টি.সি. দেয়া হবে।
= শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্লাস শুরুর ৫-১০ মিনিট পূর্বে শ্রেণিকক্ষে হাজির থাকতে হবে।
= স্কুলের নিয়ম বহির্ভূত কোন আচরণ বা কাজের জন্য তিনবারের অধিক বিশেষ মন্তব্য পাবার পর তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেয়া হবে।
= শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ, ডেস্ক, চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড, দেয়াল অথবা টয়লেটে কোনকিছু লেখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
= শিক্ষার্থীদের মধ্যে অবশ্যই সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
= পাঠের অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু, যেমন- মোবাইল, সিডি, দামী ঘড়ি, ষ্টীলের স্কেল, গহনা, ছবি, গল্পের বই, ব্যক্তিগত ডায়েরি, স্টিকার, ভিজিটিং কার্ড, লিফলেট বা অপ্রাসঙ্গিক দ্রব্যাদি স্কুলে আনা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষেধ।
= জুনিয়র শিক্ষার্থীরা সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বড় ভাই/বোন বলে মনে করা এবং তদনুযায়ী আচরণ করা, একইভাবে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা জুনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে ছোট ভাই/বোন মনে করা এবং তদনুযায়ী আচরণ করা বাঞ্ছনীয়।
= ক্লাস চলাকালীন অনুমতি ছাড়া কেউ শিক্ষার্থীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না।
= শিক্ষাবর্ষের প্রতি সাময়িকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শতভাগ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। বিশেষ কারণে কোন শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত থাকতে হলে তার উপস্থিতি মোট অনুষ্ঠিত ক্লাসের ৭৫% উপস্থিত থাকতে হবে। এর কম উপস্থিতি থাকলে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
= কোন শিক্ষার্থী ক্লাস চলাকালে ক্লাসের বাইরে থাকতে পারবে না।
= কোনক্রমেই ছুটির সময় অথবা টিফিনের সময় হৈ চৈ করা যাবে না। শ্রেণীকক্ষের পাশে বা বারান্দা দিয়ে চলাফেরার সময় কোন রকম গোলমাল করা যাবে না।
= কারো সাথে মারামরি কিংবা অসৌজন্যমূলক আচরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সর্বোপরি স্কুলের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার মত শিক্ষার্থীদের যেকোন অনিয়ম/অশালীনতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

অনুপস্থিতি ও জরিমানাবিধি:
কোন কারণে শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তী প্রথম উপস্থিতির দিনে প্রধান শিক্ষক বরাবর কারণ উল্লেখ করে অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ আবেদনপত্র শ্রেণিশিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে। অন্যথায় প্রতিদিনের জন্য ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে। ০৩ (তিন) দিনের বেশী অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবককে শ্রেণিশিক্ষকের সামনে  উপস্থিত থেকে কারণ দর্শাতে হবে। অসুস্থতাজনিত কারণে এশাধারে ০৩ (তিন) দিনের বেশী অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

অভিভাবক দিবস
প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার পর নির্ধারিত দিনে অভিভাবকগণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন ও পড়ালেখার মানোন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে আলোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।